খবর পেয়ে স্থানীয় নারিকেল বাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই বদিউর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম ও খাদ্য কর্মকর্তা হাসান মিয়া। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বর ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খান মোকাদ্দেছ অভিযোগ করেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির আওতায় মঙ্গলবার ৩০৯ জনকে ১০ টাকা কেজি দরের চাল দেওয়া হচ্ছিল।
শুরু থেকেই ডিলার আমিরুল ইসলাম ও তার ছেলে শামিম হোসেন এবং ওজনকারী আব্দুর রাজ্জাক ৩০ কেজির পরিবর্তে ১৫ কেজি থেকে সব্বোর্চ ২৮ কেজি করে চাল দিচ্ছিল। অথচ তাদের কাছ থেকে আগেই ৩০ কেজি হিসেবে ৩০০ টাকা গ্রহন করা হয়। ওজনে চাল কম দেওয়ার কারণে সুবিধাভোগীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা বিক্ষোভ মিছিলসহ তিনজনকে আটকে ফেলে।
খবর পেয়ে স্থানীয় নারিকেল বাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই বদিউর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সুরাট ইউনিয়নের লাউদিয়া গ্রামের আসমানী ও চামেলি খাতুন জানিয়েছেন তারা ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৮ কেজি চাল পেয়েছেন।
অথচ তাদের কাছ থেকে ৩০ কেজির টাকা জমা নেওয়া হয়। একই অভিযোগ করেন চুটলিয়ার নুরুন্নাহার বেগম। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম জানান, তিনি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
এছাড়া ট্যাগ অফিসার শহিদুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা হাসান মিয়া জানান, ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি প্রমানিত হয়েছে। আমরা দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিনি আরো জানান, আমি উপস্থিত থেকে ২২২ জনকে চাল দিয়েছি।
বাকী ৮৭ জনকে বুধবার দেওয়া হবে। অভিযুক্ত ডিলার আমিরুল ইসলাম মন্টুর সাথে তার ব্যক্তিগত সেলফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে বন্ধ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৩০ কেজির পরিবর্তে ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।